রমজানের জন্য পুষ্টির টিপস

পবিত্র রমজান মাস আত্মিক উন্নয়ন, আত্মসংযম এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখার একটি সময়। এই সময়ে শক্তি ও সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সেহরি ও ইফতারে সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন কিছু সহজ পুষ্টি টিপস দেখে নিই যা পুরো রমজান মাসজুড়ে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে!

সেহরিতে কী খাবেন?

সেহরি সারাদিনের জন্য আপনার শক্তির জোগান দেয়, তাই সঠিক খাবার খাওয়া আপনাকে এনার্জি দিতে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

ধীরে হজম হয় এমন ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন—হোল গ্রেইন, ওটস, ফলমূল, শাকসবজি ও লিন প্রোটিন বেছে নিন। এসব খাবার আপনাকে দীর্ঘ সময় তৃপ্ত রাখবে এবং সারাদিন শক্তি জোগাবে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত বা ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন, কারণ এগুলো পানিশূন্যতা বাড়াতে পারে।

রোজা শুরু হওয়ার আগে প্রচুর পানি পান করুন যাতে পানিশূন্যতা না হয়। হারবাল চা বা তাজা ফলের রসও উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন কারণ এটি শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

ডিম, দই, মাছ বা মুরগির মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন যাতে পেশি বজায় থাকে। বাদাম, বীজ ও অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দিতে সহায়ক।

ইফতারে কী খাবেন?

ইফতার শুরু করুন খেজুর ও পানি দিয়ে—যা শক্তি ও পুষ্টির ভালো উৎস। এরপর একটি সুষম খাবার গ্রহণ করুন যাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিন থাকে।

ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রতি ঝোঁক থাকলেও অতিরিক্ত খেলে পেট ফুলে যাওয়া বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। সচেতনভাবে ও পরিমিতভাবে খাওয়া শ্রেয়।

রোজার দীর্ঘ সময় হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, তাই হজমে সহায়ক প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার যেমন দই এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন যাতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়।

আরও পুষ্টি টিপস পেতে দেখে নিতে পারেন আমাদের সাম্প্রতিক ভিডিওগুলো:

শেষ কথা

সচেতনভাবে খাবার বেছে নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে আপনি এই পবিত্র মাসজুড়ে শক্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন। যাদের দীর্ঘমেয়াদি বা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা রোজা শুরু করার আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আমরা কামনা করি আপনার রমজান হোক স্বাস্থ্য, সুখ এবং আত্মিক শান্তিতে পূর্ণ। রমজান মুবারক!